।। চার ।।
কয়েকদিন পরে আজ জামাটা গায়ে দিতে গিয়ে পাচুর মনে হচ্ছে রুমির গায়ের গন্ধটা এখনো হালকা হয়ে জামাটাতে লেগে আছে। সেদিন রুমির বাড়ি থেকে আসার পর থেকে ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকের মত রুমির কথাগুলো পাচুর কানের মধ্যে বেজে চলেছে। সেদিন থেকে একই কথা বার বার পাচুর মনে হচ্ছে – কেন রুমি বুঝতে পারল না যে, রিকশাওয়ালাকে ওখান থেকে ভাগানোর জন্যে ও ওই কথা বলেছিল।
ওর সামান্য এক হালকা কথায় রুমি যে এত অপমানিত হতে পারে তা বুঝতে পেরে নিজেকে খুব ছোটো মনে হচ্ছে। আবার ওকে ডেকে যেভাবে সে কথাটা বুঝিয়ে দিয়েছিল সেদিন – সেটা মনে হতেই ভীষণ রাগ হচ্ছে।
রুমিকে এড়ানোর জন্যে পাচু এই কয়েকদিন রুমির বাড়ির পাশ দিয়ে যাই নি। আজ ঠিক করল, ঘটনার সূত্রপাত যখন ও করেছে, ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করে আজই এই সম্পর্কের শেষ করবে। অন্তত নিজের অপরাধ বোধের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে। রুমির সাথে আর কথা বলবে না। এমনকি রুমি জোর করে ডেকে নিয়ে গেলেও না।
অন্য একটা জামা গায়ে দিয়ে পাচু রুমির বাড়ির কাছাকাছি আসতেই পাচুর মনে হল কোত্থেকে এক ঝাঁক মৌমাছি ওকে যেন ছেকে ধরতে আসছে। রুমির বাড়ির দিকে না-গিয়ে সোজা হাঁটতে লাগল। কিছু দূর গিয়ে আবার মনে হল, আজ এটার নিষ্পত্তি না করলে কিছুতেই শান্তি হচ্ছে না। রুমির অপমানটা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে।
আড্ডা মারার বারান্দায় গিয়ে একা বসে থাকল। অনেক কিছু ভাবল। ঠিক করল রুমিকে বুঝিয়ে বলার পরেও যদি রুমি খারাপ ব্যবহার করে তো রুমিকে ও আজ পাঁচ কথা শুনিয়ে দেবে। বেশ কিছু সম্ভাব্য কথোপকথন মনে মনে রিহার্সাল দিয়ে সোজা রুমির বাড়ির দরজায় কলিং বেল বাজাল। রুমি দরজা খুলে বলল, ‘এসো।’ ভাবখানা এমন যেন ওর জন্যেই অপেক্ষা করে বসে ছিল। বলল, ‘একটু বসো, আমি এখুনি আসছি।’
রুমি এখুনি স্নান করে উঠেছে। আজ রুমিকে এক অদ্ভুত রকমের শান্ত দেখাচ্ছে। কোন মেকআপ নেই; স্নিগ্ধ, শান্ত; কোন কৌতুকপূর্ণ চাহনি নেই; আলুথালু না-হলেও শাড়িটা খুব ঢিলেঢালা ভাবে পরা; চুল গড়িয়ে দু-চার ফোটা জল গড়িয়ে মেঝেতে পরেছে। একদম অন্য রকমের এ যেন অন্য এক মহিলা।
পাচুকে আজ ভিতরে যেতে বলে নি। কিছুক্ষণ একা বসে থেকে পাচু ভাবল, অন্তত রান্নাঘরের দিকে একবার উঁকি মেরে দেখে আসে। কিন্তু সেটা বাড়াবাড়ি হয়ে যেতে পারে বা সেখানে অন্য কেউ থাকতে পারে ভেবে পাচু সোফাতেই বসে থাকল। ভেতরের ঘর থেকে ঠুন-ঠান, খুট-খাট শব্দ পাচুর কানে আসছে। একবার মনে হল, অসময়ে চলে এসেছে। ভাবল, রাস্তায় দেখা হলে তখন বললেই ভালো হত। আবার ভাবল, এইসব কথা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলা যায় না। এসে যখন পড়েছে, তখন সে নিয়ে না-ভেবে, যা যা বলার মনে মনে আরেকবার সাজিয়ে নিল।
বেশ কিছুক্ষণ পরে রুমি ফিরে এসে পাচুর পাশে যেই বসল, পাচু একটু সরে গেল – এই নিয়ে বেশ কয়েকবার রিহার্সাল দিয়েছে – ব্যবধানটা প্রথম থেকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেবে। রুমি পাচুকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বলল, ‘আজ তোমাকে অন্য রকম দেখাচ্ছে। কি ব্যাপার? কোন সুখবর আছে? আমি কিন্তু এমনি ছাড়ব না। খাওয়াতে হবে।’ পাচু কিভাবে কথা শুরু করবে বুঝতে না পেরে চুপ করে বসে আছে।
রুমি বলল, ‘জানো? কাল থেকে তোমার কথা খুব মনে হচ্ছিল। ঠিক করেছিলাম, আজ দেখা না হলে, তুমি যেখানে আড্ডা মারো সেখানে যাব। খুব খুশী হলাম যে তুমি নিজে থেকেই এলে।’
ব্যাস! পাচুর রিহার্সাল দেওয়া সব কথা হারিয়ে মনে হল যেন দিগজ্ঞান শূন্য অচেনা কোন এক জায়গায় এসে পড়েছে। কোন দিকে যাবে, কিভাবে এগোবে – ঠাওর করতে পারছে না। চুপ করে বসে থাকল।
– ‘কি হল তোমার? মাথা ধরেছে, না গলায় কাঁটা ফুটেছে? এসে থেকে চুপ করে বসে আছ যে! কোন প্রব্লেমে পরেছো নাকি? বলতে পারো আমাকে।’
এবার পাচু কোন ভূমিকা না করে সজাসুজি বলল, ‘সেই দিন কিন্তু রিকশাওয়ালার সামনে তোমাকে অপমান করার জন্যে আমি কিছু বলি নি। রিকশাওয়ালার ওইরকম প্রশ্নের জবাব ওদের ভাষাতেই দিতে হয়। তাই বলেছিলাম। এইটে বলার জন্যেই আমি এসেছিলাম। এবার আমি চললাম।’
এই বলে পাচু যেই উঠে দাঁড়িয়েছে, রুমি দরজা আগলে দাঁড়াল। ‘সে তো তোমার কথা তুমি বললে। আমার কথাটা না শুনে চলে যাবে – কি করে ভাবলে যে সেটা আমি হতে দেব?’ এই বলে রুমি পাচুকে একরকম টেনে ধরে সোফায় বসাল।
পাচু ভাবছে, কেন যে এল? না-এলেই বোধহয় ভালো হত। আবার যে কি চক্করে পরল। যা মেয়ে!
রুমি বলল, ‘তুমি তো রিকশাওয়ালার কানে কানে সে কথা বল নি। যার সম্পর্কে বললে তার কিরকম লাগতে পারে সেটা ভাবলে না একবারও? সাহায্য করেছিলে ঠিকই, কিন্তু অপমানটা তার থেকে কিছু কম না। না বুঝেই করেছ; পরে ঠাণ্ডা মাথায় একবার ভেবে দেখো, নিজেই বুঝতে পারবে।’ তারপর মুখটা পাচুর কানের কাছে এনে, যাতে আর কেউ না শুনতে পায় সেইরকম ফিসফিস করে বলল, ‘আর, আমি খানকিও নই, বুঝলে আমার নাগর সোনা।’ এই বলে ফস করে পাচুর গালে – ঊমু – জোরে একটা চুমু দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে গম্ভীর হয়ে বলল, ‘এখান থেকে এক যদি পা নড়েছ, তাহলে আমি কি করতে পারি তার নমুনা নিশ্চয়ই পেয়ে গেছো এতক্ষণে। বসো একটুখানি, আমি আসছি।’
রুমি ভিতরে চলে গেল। পাচু সোফার মধ্যে জড়ভরত হয়ে বসে ভাবছে, কি খতরনাক মহিলার পাল্লায় পড়লাম রে বাবা। জীবনে অনেক দস্যি মেয়ে দেখেছি, কলেজে মেয়েদের মুখে খিস্তি-খেউরও শুনেছি, কিন্তু এতো সেসবের অনেক ঊর্ধ্বে। একবার ভাবল, এই ফাঁকে পালায়। কিন্তু তাতে এই মহিলা যে কি করে বসবে তারপরে, সেটার কোন আন্দাজ করতে না পেরে যেমন বসে ছিল সেই রকমই বসে থাকল।
রুমি একটা প্লেটে দুটো সিঙ্গারা নিয়ে ফেরত এলো। ‘আজ নতুন ফুলকপির সিঙ্গারা বানিয়েছি তোমার জন্যে। খুব একটা ঠাণ্ডা হয় নি এখনো। খেয়ে বল, কেমন হয়েছে। আমি চায়ের জল বসিয়ে এসেছি। আনছি।’ প্লেটটা টেবিলের উপর নামিয়ে রেখে রুমি ভিতরে চলে গেল।
পাচু ভাবছে, আচ্ছা ফ্যাসাদে পড়লাম তো দেখছি। কত কি ভেবে এসেছিলাম – এই বলব, সেই বলব; দরকার পরলে পাঁচ কথা শুনিয়ে দেব; কিছু খেতে বললে খাব না; সব গোল পাকিয়ে দিল এক মুহূর্তে।
সিঙ্গারায় এক কামড় দিয়ে পাচু প্লেটটা নামিয়ে রাখল; গলা দিয়ে নামছে না। ভাবছে, এ কি জাদু করতে পারে নাকি?
মিনিট দুয়েকের মধ্যে রুমি ফেরত এলো, চা নিয়ে। বলল, ‘কেমন হয়েছে সিঙ্গারা? আমি জানতাম তুমি আজ আসবে। তাই বানিয়েছিলাম।’
রুমি সিঙ্গারার প্লেটের দিকে একবার তাকিয়ে পাচুকে বলল, ‘তোমার কি শরীর খারাপ? এসো, তাহলে আমি খাইয়ে দেই।’
পাচু আরও অস্বস্তিতে পরে তাড়াতাড়ি বলে উঠল, ‘না না, আমি নিজেই খাচ্ছি।’ এই বলে, পাচু চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়ে সিঙ্গারার প্লেটটা তুলে নিল।
পাচু তখনও গম্ভীর, থমথমে মুখে বসে আছে। রুমি বলল, ‘আচ্ছা ও সব ছড়ো দেখি। অনেক হয়েছে বাজে কথায় সময় নষ্ট। ও সব ভুলে যাও দেখি এবার।’ এই বলে, একটু কাছে এসে রুমি পাচুর মাথায় কয়েকবার হাত বুলিয়ে দিল। তারপর হঠাৎ পা থেকে শাড়িটা একটু তুলে বলল, ‘এই দ্যাখো, আজ আমার পা-টা কেমন লাগছে? নেল-পালিশ পরেছি আজ।’
পাচু নিস্প্রভ হয়ে বলল, ‘খুব ভালো।’
‘এইরকম ভাবে বলবে নাকি? ভালো করে দেখে বলো।’ শাড়িটা আরেকটু তুলে একটা পা পাচুর কোলে তুলে দিল। পাচু একই রকম ভাবে বলল, ‘খুব সুন্দর।’
‘এই তোমার কমপ্লিমেন্ট দেওয়ার নমুনা? একটু ভালো করে দ্যাখো। অন্তত দেখার ভান করো।’ এই বলে রুমি পাচুর হাতটা টেনে নিজের পায়ের উপর দিয়ে দিল।
পাচু নির্জীবের মত নিজের হাতটা রুমির নিটোল মসৃণ পায়ের উপর রেখে, জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কি চাও বলতো?’
রুমি বলল, ‘সুমন।’
পাচু কিছু বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করল, ‘কেন?’
– ‘আমার ভালো লাগে তাই।’
– ‘আমার মন যেমনই হোক তাকে আর কিছু বানাতে হবে না। তোমার আসল উদ্দেশ্যটা কি খোলাখুলি বলবে আমাকে?’
রুমি পাচুর হাতটা নিজের পায়ের উপর থেকে সরিয়ে দিয়ে পা টেনে শাড়ি নামিয়ে ফিক ফিক করে হাসতে হাসতে বলল, ‘পঞ্চম নাম তোমার, তুমি এঁর গান শোন নি কখনো? ‘
পাচু কাটাকাটা ভাবে বলল, ‘যা বলার পরিষ্কার করে বলো।’
রুমি হাসতে হাসতে বলল, ‘“তোমাকে চাই”, সুমনের গান। এবার বুঝলে?’
‘হুঃ’, বলে একটা শব্দ করে পাচু চুপ করে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর কিছুটা ধাতস্থ হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কি করে জানলে, আজ আমি আসব? বানিয়ে বানিয়ে বলে দিলেই হল। সকাল অবধি আমি নিজেই তো ঠিক করে নি যে আজ আসব।’
– ‘তুমি যখন এখানে আসার মনস্থির করেছিলে, ঠিক তখনি জেনেছি।’
পাচু এবার ব্যঙ্গ করে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি উইচক্রাপ্টও জানো নাকি?’
– ‘সেটা জানি না। তবে তুমি এক্ষুনি কি ভাবলে সেটা বলে দিতে পারি।’
– ‘কি ভাবলাম? বালো দেখি।’
– ‘ভাবছিলে যে আমার পা-খানা একটু নেড়ে দেখা হল না, ভালো করে দেখার আগেই আমি নামিয়ে নিলাম।’ পাচুর চোখটা নেমে গেল চায়ের কাপের দিকে। রুমি বলল, ‘থাক, মুখ ফুটে আর স্বীকার করতে হবে না।’
পাচুর মনে হল ওর শরীরটা যেন হিম হয়ে গেল – তলানি কাপের চায়ের মত। এসেছিল ফুটন্ত এক কাপ চা হয়ে – চুমুক দিলেই জ্বিব পুড়ে যাবে। রুমির এক চুমুতেই সব ঠাণ্ডা হয়ে গেল। এখন কানের মধ্যে পিঁপিঁ করে কি যেন বাজছে – কান দুটো গরম হয়ে উঠেছে। মনে হল, কানটাকে একটু টেনে বা খুঁচিয়ে না-দিলে অন্তত পিঁপিঁ শব্দটা বন্ধ হবে না। হাত উঠাতে গিয়ে আবার ভাবল, রুমির সামনে নিজের কান নিজেই মলবে। গুম মেরে বসে থাকল পাচু।
রুমি সারাক্ষণ কথা বলে। আর এখন দ্যাখো, চুপ করে বসে কি যেন ভাবছে আর মাঝে মাঝে আড়চোখে দেখছে। কি জানি কিসের মতলব করছে এবার। পাচু একবার ভাবল, ধরা যখন পরেই গেছি, শুধু পা কেন? রুমির সারা শরীর ধরে টান দিয়ে দেখাই একবার। কানের মধ্যে পিঁপিঁ শব্দটা বন্ধ হয়ে ভোঁভোঁ করে শব্দ হাওয়া শুরু হল এবার। আচ্ছা বিপদে পড়া গেল তো।
এইরকম উষ্ণ নারীর সঙ্গ নিস্তব্ধতায় যতটা ভালোলাগে, নিশব্দতা ততটাই অস্বস্তিকর। পাচু ভাবল, এবার কান না খুচালেই নয়, এই পিঁপিঁ-ভোঁভোঁ শব্দটা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। বলল, ‘আচ্ছা, আমি যদি বলি, তুমি যা বললে – সেইটে ভাবিনি।’
মাথা না তুলেই রুমি বলল, ‘যদি – কেন বলছ? না-ভেবে থাকলে বল – ভাবিনি।’ এই বলে পাশের ঘর থেকে একটা ছোট তোয়ালা নিয়ে এসে পাচুর দিকে হাত বাড়িয়ে ধরে বলল, ‘কপালটা এবার মুছে নেও। অনেক ঘেমে গেছো।’
হস্টেলে প্রথম দিন সেকেন্ড ইয়ারের ছলেরা ফার্স্ট ইয়ারের সব ছেলেদের নেংটো করে বারান্দায় মার্চ করিয়েছিল। যখন বলেছিল, ওয়েল ডান বয়েজ, গেট ড্রেসড নাউ। তখন পাচু ছোঁ-মেরে একটা তোয়ালা টেনে নিজেকে জড়িয়ে ছিল। সে স্মৃতিটা যে এখনো মনের মধ্যে কোথাও রয়ে গেছে – রুমির হাত থকে তোয়ালাটা নেওয়ার সময় পাচুর মনে পরল। কপাল, মুখ, কান মুছে, পাচু উঠে তোয়ালাটা রাখতে যাচ্ছিল। রুমি বলল, ‘থাক, আমাকে দাও। জল খাবে?’
পাচু বলল, ‘হ্যাঁ।’ আর মনে মনে ভাবল, যে জলে পরেছি জল ছাড়া আর কি বা খাব?
রুমির হাত থেকে জলের গ্লাসটা নিয়ে পাচু বলল, ‘তোমাকে বোঝা আমার ক্ষমতার বাইরে।’
রুমি দুই হাত তুলে চুলটা টেনে হাত খোপা বাঁধতে বাঁধতে বলল, ‘চেষ্টা করেছ কখনো?’
এই কয়দিনে পাচু অনেকবার দেখেছে, নানারকম ভাবে দেখেছ রুমিকে, মুহূর্তের জন্যে রুমিকে তার সবচেয়ে সুন্দরী বলে মনে হল। কোমড় থেকে উঠে সরু হয়ে পেট, পেট থেকে আস্তৃত বুক, বুক থেকে গলা, গলা টান করে উচু করে রাখা চিবুক, আর হাত দুটো ভাঁজ করে মাথার পিছনে; শাড়িটা সরু হয়ে কোমড় থেকে উঠে গেছে কাঁধ অবধি – ঢেউ খেলেছে ত্রিমাত্রিক ছন্দে। পাচু বলল, ‘জানি না। বলতে পারব না। আজ উঠি।’