Home » বড় গল্প » চক্রবুহ্য (দ্বিতীয় পর্ব)

চক্রবুহ্য (দ্বিতীয় পর্ব)

।। ছয় ।।

কাজের ব্যস্ততায় কখন সারাদিন পার হয়ে যায় রত্নাকরের খেয়াল থাকে না। রত্নাকর যত কাজ করে, ততই যেন ওর ঘাড়ে আরও কাজ চেপে যায়। প্রায় প্রতিদিনই অফিস থেকে বের হতে ওর অনেক দেরী হয়ে যায়। কনিকাদি একদিন এসে বললেন, ‘তুমি যেভাবে কাজ করছ, এবার তুমি অনেক বোনাস পাবে।’ রত্নাকর সংক্ষেপে উত্তর দিল, ‘পেলে খুশী হব।’ এবার তিনি আসল কথাটা জিজ্ঞেস করলেন। বললেন, ‘বোনাসের ব্যাপারে কিছু শুনেছ নাকি?’ রত্নাকর আবার সংক্ষেপে উত্তর দিলেন, ‘আমি তো নতুন এখানে। জানলে আপনারাই আমার আগে জানতে পারবেন।’ ‘সেইদিন আর আমার নেই। নাহলে, কে কত পাচ্ছে, এতদিনে আমি সবাইকে বলে দিতাম।’ রত্নাকর চুপ করে থাকল আর মনে মনে ভাবল, এই করেই আজ আপনার এই অবস্থা। রত্নাকরের গল্পে মন নেই দেখে কনিকাদি ওখান থেকে চলে গেলেন।

পাশ দিয়ে মল্লিকা যাচ্ছিল। কথাগুলো হয়ত সে শুনেছে। ফেরার পথে রত্নাকরের কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘বোনাসের খবর কিছু পেলে নাকি?’ ‘মল্লিকা, তুমিও?’ মল্লিকা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিজেকে একটু সামলে বলল, ‘কাজগুলো তো আমার কাছ থেকে শিখেছ, তাই বোনাস পেলে গুরুদক্ষিণা দিতে ভুলো না যেন।’ রতনের মনে হল, কত বছর হয়ে গেল, এই পূজার সময়ে কেউ কিছু দেয়ও না, কেউ কিছু চায়ও না ওর কাছে। কয়েকজন লোকের সাথে আড্ডা মেরে ওর পূজার ছুটির দিনগুলো কেটে যায়। এই কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার মল্লিকাদের বাড়িতে গিয়েছে। আজ মনে মনে ঠিক করল, এবার বোনাস পেলে কিছু কিনে নিয়ে যাবে।

দিন-কয়েক পরে একদিন বিকালে মল্লিকা রত্নাকরকে বলল, ‘আজ ফেরার পথে মা একবার বাড়ি যেতে বলেছে।’ ‘এটা যে আমার কাছে কত বড় ব্যাপার সে তুমি হয়ত বুঝবে না। যাব নিশ্চয়ই, তবে দেরী হতে পারে।’ ‘সে ঠিক আছে।’

সন্ধের দিকে রত্নাকর অন্য একটা ঘরে গিয়েছিল আরেকজনের সাথে কিছু কথা বলতে। ফিরে এসে দেখে টেবিলের উপরে নোট রাখা, আমি এখন বের হচ্ছি। তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে চলে এসো।

রত্নাকরের মনের মধ্যে খটকা লাগল যে এমন কি তাড়াহুড়ো ছিল যে আজ একটু অপেক্ষা করতে পারল না। সে তার টেবিলের কাগজপত্র গুছিয়ে রেখে বের হল। মল্লিকাদের বাড়িতে যখন পৌঁছালো, তখন প্রায় রাত আটটা। বাড়ির বাইরে থেকে রতন বুঝতে পারল ভিতরে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। রত্নাকর দরজার বেল টিপল। মাসিমা দরজা খুলে দিলেন। পিছনে মল্লিকা দাঁড়িয়ে। রত্নাকর দেখল, জুঁই আর ওর কয়েকজন বান্ধবী সোফায় বসে গল্প করছে। রত্নাকরকে দেখে জুঁই বলল, ‘মা বলছিল আপনি আসবেন। এত দেরী করলেন কেন?’ মল্লিকা জুঁইকে বলল, ‘তুই গল্প কর। ও এখন আছে।’ তারপরে রত্নাকরের দিকে ঘুরে, ‘কোন তাড়া নেই তো? এদিকে এসো।’ বলে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসতে দিল। এর আগে একবার এসেছে এই ঘরে। রত্নাকর জিজ্ঞেস করল, ‘আজ কি ব্যাপার বলতো? প্রথমে ডেকে পাঠানো। তারপরে আমি কতক্ষণ থাকব সেটাও ঠিক করে ফেললে। একটা কিছু ব্যাপার আছে।’ মল্লিকা ওড়নার আঁচলটা ঘাড়ের উপরে ঠিক করে পাততে পাততে বলল, ‘এই তো এলে। জানতে পারবে।’

রত্নাকর বলল, ‘এখানে যখন এসে গেছি তখন জানতে যে পারব সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে যতক্ষণ জানতে পারছি না, ততক্ষণ কৌতূহলটা সারাক্ষণ খোঁচা দিতে থাকে। আর সেটাই অস্বস্তিকর।’

রত্নাকর যে চেয়ারে বসেছিল তার পাশেই বিছানা। সেখানে উঠে বসার জন্য মল্লিকা বলল, ‘তোমার পা-টা একটু সরাও তো। আমি যাই ওই দিকে।’ রত্নাকর পা দুটো টেনে নিল। মল্লিকা রত্নাকরকে পাশ কাটিয়ে বিছানায় উঠে বসল। রত্নাকর আবার জিজ্ঞেস করল, ‘কি ব্যাপার বলবে না?’

মল্লিকা ঠোটের কোনায় একটা হাসির আভাস টেনে জিজ্ঞেস করল, ‘জানার খুব ইচ্ছে?’

রত্নাকর একই ভাবে বলল, ‘তা না-হলে এমনি এমনি বার বার জিজ্ঞেস করছি নাকি?’

মল্লিকা বলল, ‘আমারও তো কত কি জানার ইচ্ছে। সে আর কে বলছে?’

রত্নাকর কিছু না-ভেবেই বলল, ‘কি জানতে চাও বলো।’ বলেই বুঝতে পারল তাড়াহুড়োয় একটু বেশী বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে হয়ত। মল্লিকার দিক থেকে চোখ নামিয়ে টেবিলের উপরে রাখা একটা পত্রিকার দিকে নজর দিল। তারপর সেটাকে টেনে নিয়ে একটা পাতা খুলে সেদিকে তাকিয়ে থাকল। এমন সময়ে মল্লিকার মা এসে এক কাপ চা দিয়ে গেলেন। আর বললেন, ‘আজ এখানে খেয়ে যেও।’

‘ঠিক আছে।’ এই বলে রত্নাকর পত্রিকাটা যেখানে ছিল সেখানে রেখে দিয়ে চায়ের কাপটা টেনে নিল। মল্লিকার মা ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। বাইরে তখনও জুঁইয়ের বান্ধবীদের গল্প চলছে। দুয়েকটা বিক্ষিপ্ত কথাবার্তা আর হাসির আওয়াজ কানে আসছে। রত্নাকর বার দুয়েক চায়ে চুমুক দিয়ে যখন দেখল মল্লিকা তখনও কোন কথা বলছে না, এদিকে এই নিস্তব্ধতার অস্বস্তিটাকে প্রশ্রয় দিলে এটা এমন চেপে বসবে যে সেখানে তখন আর বসে থাকা যাবে না, তাই রত্নাকর জিজ্ঞেস করল, ‘শুনছি, কাল বোনাস দেবে। তো কি গুরুদক্ষিণা চাই তোমার?’ ‘সেটা কি তোমার সাথে দর-কষাকষি করে নিতে হবে? তাছাড়া বাজার থেকে কিনে দেওয়ার চেয়ে আর কিছু দেওয়ার নেই তোমার কাছে?’

আজ মল্লিকা ওকে কোন দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে বুঝতে না-পেরে রত্নাকর চুপ করে বসে থাকল। তারপর কিছুক্ষণ ভেবে বলল, ‘তোমাকে দেওয়ার মত আমার যে কি আছে তা যদি আমি নিজে জানতাম, তাহলে হয়ত এই বোনাস পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত না আমাকে।’

মল্লিকা আবার ঠোটের কোনায় একটা হাসির আভাস টেনে জিজ্ঞেস করল, ‘সেইটা জানার কোন কৌতূহল হয় না তোমার? তার জন্যে কোন অস্বস্তি-বোধ হয় না?’

এর আগের কথাবার্তায় কিছু একটার আভাস পেয়েছিল ভেবে রত্নাকর যে লজ্জা পেয়েছিল, সেটা উধাও হয়ে গিয়ে ও এখন ধন্দে পড়ল। বলল, ‘এইরকম ভাবে বললে আমি কিন্তু এখনি উঠে যাব।’

মল্লিকা বলল, ‘যেতে চাও যাও। তবে একটু আগেই মাকে তুমি কথা দিয়েছিলে যে এখান থেকে খেয়ে যাবে।’ রত্নাকর চুপ করে বসে থাকল। একটু থেমে মল্লিকা বলল, ‘তোমার নিজেকে জানার কোন কৌতূহল নেই, অথচ অন্যের বিষয় জানতে না-পারলে অস্বস্তি বোধ হয়। সেটা কেমন ব্যাপার?’ প্রশ্নটা সহজ, তবে ভাবলে এর কোন কিনারা রত্নাকর পাবে কি না তার কোন আন্দাজ করতে পারল না। চায়ে দু-তিন বার চুমুক দিয়ে রত্নাকর কিছু একটা ভাবল, তারপর মল্লিকাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কি নিজেকে জানো?’

মল্লিকা খুব সাধারণ ভাবে বলল, ‘সবটা না-হলেও, অনেকটা জানি।’ রত্নাকর একটা স্বস্তি পেল। জিজ্ঞেস করল, ‘বলতে পারো তুমি এখন কি চাও?’ ‘প্রশ্ন দুই রকমের হয়। তুমি কি আমাকে জানার জন্যে জিজ্ঞেস করছো, না আমাকে পরীক্ষা করার জন্যে জিজ্ঞেস করছো?’ শুনে রত্নাকর একটু বিরক্ত হল। ভাবল, ওকে ডেকে এনে ওর একটা সাধারণ কথাকে টেনে কোথায় নিয়ে চলে গেল। এদিকে মল্লিকার কাজকর্ম দেখে, ওর সাথে কথা বলে ওর সম্পর্কে একটা কৌতূহলও জেগে উঠেছে। ভাবল, মল্লিকা হয়ত কিছু একটা বলতে চাইছে। তাই বলল, ‘পরীক্ষা করতে যাব কোন অধিকারে? আর পরীক্ষা করতে যাবই বা কেন? জানার জন্যই জিজ্ঞেস করেছিলাম।’

মল্লিকা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, এমন সময়ে জুঁইয়ের বান্ধবীরা সবাই উঠে পড়ল। দুজন এসে বলল, ‘বাই মল্লিকা-দি।’ মল্লিকাকে বিছানা ছেড়ে উঠতে হল। জিজ্ঞেস করল, ‘কি রে তোরা যেতে পারবি না কি এগিয়ে দেব?’ ‘না না, আমরা যেতে পারব’, বলে হই হই করে ওরা সবাই বের হয়ে গেল। আর বলল, ‘হ্যাপি বার্থডে।’ রত্নাকর ঘরের ভিতর থেকে সেটা শুনতে পেল। মল্লিকা ফিরে আসতেই রত্নাকর বলল, ‘আজ তোমার বার্থডে আর তুমি আমাকে বল নি! হ্যাপি বার্থডে। ছি ছি ছি, আমি খালি হাতে চলে এসেছি। এটা ঠিক করো নি।’ রত্নাকর একদমে বলে যখন থামল, মল্লিকা হিহি করে হেসে বলল, ‘ভুল মানুষকে উইস করলে। আমার বার্থডে না আজ। আজ জুঁইয়ের বার্থডে। ওরা ওকে বলে গেল।’

রত্নাকর বলল, ‘তা হলে তো আরও বাজে কাজ করেছো। তোমার বলা উচিৎ ছিল।’ এমন সময় জুঁই এসে সামনে দাঁড়ালো। রত্নাকর বলল, ‘হ্যাপি বার্থডে জুঁই। তোমার দিদি আজ আমার উপরে কোন প্রতিশোধ নিচ্ছে আজ। তবে সেটা যে এমনভাবে নেবে সেটা ভাবিনি কখনো। তোমার বার্থডে গিফটটা ডিউ থাকল।’ ‘থ্যাঙ্ক ইউ। ভুলে যাবেন না তো? নাকি একটা এগ্রিমেন্ট করিয়ে নেব?’ এক বলে জুঁই হিহি করে হেসে উঠল। তারপরে বলল, ‘আজ আপনি এসেছেন তাতেই আমি খুশী। আর আমার দিদির উপরে প্লিজ রাগ করবেন না। ওটা আমিই ওকে বলেছিলাম। যাতে ও আপনাকে না-বলে।’

তারপরে জুঁই রত্নাকরকে টেনে বিছানায় বসিয়ে দিল। বলল, ‘এতদিন কেন আসেন নি বলেন তো?’ ‘অফিসে কাজ থাকে না বুঝি?’ ‘ও সেই তো। কাজ করে যে পেট ভড়ে, সেটা যে করে না সে কি করে বুঝবে? তা অত রাতে খাওয়া-দাওয়া কিছু পাওয়া যায়? নাকি জল খেয়ে পেটে গামছা বেঁধে শুয়ে পড়েন?’ ‘আজ তোমরা দুইজনে আমার পিছনে লাগবে বলে কি প্ল্যান করে আমাকে ডেকেছিলে?’ ‘আগে খাওয়া-দাওয়া সেরে তরতাজা হয়ে উঠুন। তারপরে লাগা যাবে।’ তারপরে মল্লিকার দিকে ঘুরে জুঁই বলল, ‘যা না দিদি। খাওয়ার ব্যবস্থা কর তাড়াতাড়ি। আমার খিদে পেয়ে গেছে।’

রত্নাকর বলল, ‘আজ আমারই তোমাকে খওয়ানো উচিৎ। আর সেখানে আমি এসেছি এখানে। তুমি এটা ঠিক করো নি।’

জুঁই বলল, ‘কেন? এর পরে আর আসবেন না বুঝি?’

‘কেন আসব না?’ ‘ডাকতে হবে? না নিজে থেকেই আসবেন?’ ‘তোমার পাল্লায় পরে না-এসে কি আমার নিস্তার আছে? নিজে থেকেই আসব।’ ‘কবে আসবেন?’ রত্নাকর কিছু ভাবছে দেখে জুঁই বলল, ‘আচ্ছা, এই রবিবারে কি করছেন? সেদিন বিকালে আসুন। তারপরে আড্ডা মেরে বাইরে খেয়ে ফিরব। কি বলেন?’ ‘ঠিক আছে।’

এমন সময়ে মল্লিকার মা বললেন, ‘জুঁই আয়। খাবার বেড়ে দিয়েছি টেবিলে।’ জুঁই বলল, ‘চলুন।’

খেতে খেতে জুঁই বলল, ‘মা, এই রবিবারে আমারা বাইরে কোথাও খাবো। রত্নাকর-দা খাওয়াবে। তা না-হলে লজ্জায় এখানে আসতে পারছে না।’ মল্লিকার মা বললেন, ‘তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসিস।’ রত্নাকর বলল, ‘মাসিমা আপনিও যাবেন আমাদের সাথে।’ ‘তোমাদের মত আমি ছুটতে পারব না। তোমরা যাও। আমি একটু বিশ্রাম করব সেদিন।’ যেভাবে দৃঢ়তার সাথে উনি কথাটা বললেন রত্নাকরের আর সাহস হল না আরেকবার বলার। রত্নাকর খাওয়ায় মন দিল।

মল্লিকার মা রত্নাকরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কোথায় থাকো?’ ‘দমদমের কাছে।’ ‘সে তো অনেক দূর। জুঁই এখন ওর আর দেরী করিয়ে দিস না। অনেকটা যেতে হবে ওকে।’ জুঁই বলল, ‘না না না, আজ রাতে আর যাত্রা শুনতে যাবো না।’ রত্নাকর জুঁইকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার কত গান মুখস্থ আছে?’ ‘সময় কই? গুনি যে!’ ‘তুমি কি সব কথার উত্তর গানের কথা দিয়ে বলতে পারো?’ ‘কথায় কথায় যে রাত হয়ে যায়।’ রত্নাকর বলল, ‘থাক্ আর বলতে হবে না।’

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রত্নাকর বলল, ‘আর দেরী করলে এর পরে আর বাস-ট্যাক্সি কিছুই পাব না।’ জুঁই গান ধরল, ‘কতদিন পরে এলে, একটু বসো। তোমায় অনেক কথা বলার ছিল যদি শোন।’

রত্নাকর এবার বলল, ‘আশ্চর্য। তোমার দিদিকে একটু এসব শেখাও না কেন?’

জুঁই মল্লিকার পিছনে দাঁড়িয়ে মল্লিকার কাঁধ ধরে দাঁড়িয়ে মল্লিকাকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘এই কূলে আমি আর ঐ কূলে তুমি, মাঝখানে নদী ঐ বয়ে চলে যায়।’

রত্নাকর জুঁই আর মল্লিকার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘জুঁই, প্রশ্নটা তোমাকে পরীক্ষা করার জন্য নয়, জানার জন্যই জিজ্ঞেস করছি। তুমি কি কখনো এমন পরিস্থিতি পড়েছো যখন মনে হয়েছে, ইস্, এই পরিস্থিতির উপযুক্ত একটা গানের কথা জানা নেই।’

জুঁই বলল, ‘হ্যাঁ। পড়েছি।’ মল্লিকা আশ্চর্য হয়ে জুঁইয়ের কাছ থেকে সরে দাঁড়িয়ে ওর দিকে ঘুরে তাকিয়ে থাকল। জুঁই এক মুহূর্ত থেমে উত্তরটা দিল, ‘আমার স্বপন কিনতে পারে এমন আমীর কই? আমার জলছবিতে রঙ মিলাবে এমন আবীর কই?’

‘আজ তবে এইটুকু থাক, বাকি কথা পরে হবে।’ হাসতে হাসতে রত্নাকর বলল।

জুঁই জিজ্ঞেস করল, ‘কেমন বেশ মজা লাগে না?’ ‘বেশ লাগে।’ হি-হি করে হেসে মল্লিকার দিকে তাকিয়ে জুঁই বলল, ‘দিদি, দেখুক পাড়া পড়শিতে কেমন মাছ গেঁথেছি বড়শিতে।’

‘এবার আসি।’ বলে রত্নাকর বের হয়ে গেল।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25