Home » বড় গল্প » চক্রবুহ্য (দ্বিতীয় পর্ব)

চক্রবুহ্য (দ্বিতীয় পর্ব)

।। দুই ।।

চাকরীর নতুন পদে রতনের কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেছে। এখনো অনেকের কাছ থেকে রতনকে টুকটাক কাজ শিখে-বুঝে নিতে হয়। তার মধ্যে মল্লিকার কাছ থেকে বুঝতে হয় সব চেয়ে বেশী। একসময় রতন জানতে পারল, অনেককাল আগে কনিকাদি ওই পারচেজিং আর ভেন্ডার পেমেন্টের ফাইল হ্যান্ডল করত। এখন মল্লিকা করে। কয়েকদিন পর থেকে এটা ওকে হ্যান্ডল করতে হবে। এই ডিপার্টমেন্টে অনেক টাকার লেনদেন হয় বলে বড় সাহেব কয়েক বছর পর পর এই দায়িত্ব বদলে দেন। এই ফাইলের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই রতন এর প্রভাব এক-আধটু বুঝতে পেরেছে। তবে এনিয়ে মল্লিকা ওকে কিছু বলে নি এবং রতনও মল্লিকাকে কিছু জিজ্ঞেস করে নি।

এখন বেশীরভাগ কাজ রতন নিজেই করতে পারে। একদিন বড় সাহেব রতন আর মল্লিকাকে ডেকে বলল যে, ওই ডিপার্টমেন্টে সেটাই মল্লিকার শেষ সপ্তাহ। তাই রত্নাকর যেন সব ফাইল-পত্র ভালো করে বুঝে নেয়।

এই নিয়ে কাজ করতে করতে সেদিন সন্ধে পার হয়ে গেল। তখন অফিসের এই ঘরে ওরা দুজন ছাড়া আর কেউ নেই। একসময় মল্লিকা বলল, ‘যদি কিছু মনে না করেন তো একটা কথা বলি।’ ‘বলুন।’ ‘আমাকে আপনি বলে ডাকবেন না। প্রথম-প্রথম বলেছেন। ঠিক আছে। এই অফিসে সবাই আমাকে তুমি বলে ডাকে, আপনিও তাই বলবেন।’ রতন বলল, ‘ঠিক আছে। তাহলে আমিও নিশ্চয়ই একইরকম ভাবে পাল্টা ডাক আশা করতে পারি আপনার কাছ থেকে। আর, এবার এই বাবুটাকে বাদ দিয়ে দেন।’ শুনে মল্লিকা একটু জোরেই হেসে উঠল। ফাঁকা ঘরে হাসিটা প্রতিধ্বনির সাথে মিশে রতনের শম্পার কয়েকটা মুহূর্ত মনে পড়ল।

রতন শম্পার সাথে তখন পালানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। কয়েকদিন কারখানা থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে বসে আছে আর শম্পার সাথে খুনসুটি করে সারাদিন কাটাচ্ছে। শম্পা বলেছিল, বিয়ের পরে তোমাকে রতন-দা বলে ডাকা যাবে না। ছোটবেলা থেকে রতন-দা বলেছি, এখন শুধু নামটা – কেমন অস্বস্তি লাগে। ওগো, শুনছো – সেসব আমার মুখ দিয়ে বের হবে না। তোমাকে কি বলে ডাকি? বলোতো। শুনে রতন মন দিয়ে ভাবছে, এমন সময় শম্পা বলল, পেয়েছি। কর্তা বলে ডাকব। এক অর্থে এখন তুমি আমার উদ্ধার কর্তা। তাই কর্তা বলে ডাকব। বা কর্তা-বাবু। কি বলো? এই বলে শম্পা এই রকমই হাসছিল সেদিন।

সম্বিত ফিরে পেল মল্লিকা যখন রত্নাকরের ফাইলটা ধরে একটু ঝাঁকিয়ে বলল, কি হল? ওরকম করে কি দেখছেন?

রতন চোখ নামিয়ে নিল। বলল, অনেকদিন পরে কাউকে এইরকম মিশুকে-হাসি হাসতে দেখলাম। একটা পুরানো কথা মনে পরে গিয়েছিল। মনে মনে ভাবল, সেদিন নামের সাথে বাবু কথাটা জোড়া দেওয়ার কথায় কেউ হেসেছিল আর আজ বাবু কথাটা কেটে বাদ দেওয়ার জন্য আর একজন হাসছে।

মল্লিকা জিজ্ঞেস করল, তা সেই পুরানো কথাটা কি? জানতে পারি কি?

রতন একটা মৃদুহাস্য দিয়ে বলল, ‘নিশ্চয়ই। তবে আজ না। একদিনে এতটা…।’ ‘সরি, বুঝেছি।’ ‘না না, এর মধ্যে আপনার সরির কিছু নেই। অন্য একদিন বলব।’

তারপর রতন বলল, ‘আজ এখানেই থাক। আরও দুইদিন হাতে আছে। তার মধ্যে হয়ে যাবে। হবে না?’ ‘নিশ্চয়ই হয়ে যাবে।’ ‘তাছাড়া, বড় সাহেব যাই বলুক না-কেন, পরে কিছু অসুবিধে হলে আপনি কি একটু বলে দেবেন না?’ ‘দেব, যদি আপনি আমার নাগাল পান।’ ‘মানে?’ ‘মানে, আমি যদি বড় সাহেবের ঘরে সারাক্ষণ বসে থাকি, সেখানে তো আপনি কাজ বুঝতে যাবেন না। যাবেন কি?’

মল্লিকার কাছ থেকে এইরকম কথা রতন কোনদিন শোনে নি। অবাক হয়ে মল্লিকার দিকে তাকিয়ে রতন কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করল। ভাবল, এতদিন যা শুনেছে, বিশেষ করে কনিকাদির কাছ থেকে। এমন সময়, ‘আপনার কি হয়েছে? আবার কোথায় হারিয়ে গেলেন?’ মল্লিকা জিজ্ঞেস করল।

‘কিছু হয় নি।’ রতন আরও কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল। মল্লিকা রতনকে থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘আপনি কি বোঝাতে চান যে আমার সম্বন্ধে অফিসের কেউ এই রকম কথা আপনাকে বলে নি।’

রতন বুঝল, ‘অফিসের কেউ’ কথাটার উপরে মল্লিকা একটু বিশেষ ঝোঁক দিয়ে বলল। এই ‘অফিসের কেউ’-টা কে রতনের বুঝতে একটুও অসুবিধা হল না। ভাবল মল্লিকাকে জিজ্ঞেস করে, সত্যিটা কি – সেটা সবাইকে বলেননা কেন? তাহলেই তো লোকের খুঁতখুঁতানি থাকে না। কিন্তু, সেটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে ভেবে বলতে পারল না। বরং বলল, এখানে সবাই সারাক্ষণ কূটনীতি চালিয়ে যায়। কেউ খোলামেলা ভাবে কথাই বলে না। কেমন যেন একটা দম-বন্ধ অবস্থা হয় সারাদিন।

‘যাক। অন্তত একজনের হলেও দম-বন্ধ অবস্থা হয় এখানে। ধরে নিন, সেইজন্যেই আমাকে বড় সাহেবের কাছে ঘন-ঘন যেতে হয় একটু পরিষ্কার বাতাস নিয়ে আসতে। উনি তো এসি রুমে থাকেন, আর প্রাইভেসিও আছে।’

এবার রতন ভীষণ বিরক্ত হল। বলল, ‘দেখুন, আমার কাজ, আর আমার মাইনে নিয়ে এই অফিসের সাথে আমার সম্পর্ক। অন্য কারুর ব্যাপারে আমার কোন কৌতূহল নেই।’

মল্লিকা হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে সামনে-রাখা ফাইলটা বন্ধ করে রতনের কাছে এগিয়ে এসে বলল, ও! তাই বুঝি। কনিকাদি যখন আপনাকে বলে কই তখন তো আপনার এই ভাবমূর্তি দেখি না।

রতন এক-এক করে নিজের ফাইল-পত্র সব বন্ধ করে আলমারিতে তুলে রাখল। একটাও কথা বলল না। মল্লিকার ফাইলগুলো এক জায়গায় সরিয়ে টেবিল পরিষ্কার করে মল্লিকার দিকে নিজের চেয়ার টেনে নিয়ে বসল। তারপরে বলল, এটা জানবেন, প্রত্যেকে নিজের কাজ, কথা ও আচরণ দিয়ে অন্যের কাছে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলে। এটা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে, নষ্ট করতে লাগে একটা কথা, বা একটা আচরণ মাত্র। আপনার সম্পর্কে আমার যে ধারনা আছে সেটাকে এইসব তুচ্ছ কারণে নষ্ট না।’

‘তুচ্ছ কারণ! হা:! আপনি বলতে চান কনিকাদি আপনাকে আমার নামে কিছু বলে নি, বা আপনি সেগুলো বিশ্বাস করেন না!’

‘কনিকাদি কি বলে তা আপনি ভালোই জানেন। এইটুকু বলি, তাতে আপনার মান-সম্মান নষ্ট হয় কিনা বলতে পারব না। তবে ওনার সম্পর্কে কি ধারনা হয়, তা নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারেন। আর যাই হোক কেউ ওনাকে ভরসা করতে পারে বলে তো আমার মনে হয় না।’ একটু থেমে রতন গম্ভীর হয়ে বলল, ‘আর একটা কথা। উনি আমাকে কি বলেছেন, না-বলেছেন সে নিয়ে আমাকে এইরকমভাবে চার্জ করা ঠিক হচ্ছে বলে মনে হয় না।’

‘সরি।’ মল্লিকা রুমাল বের করে চোখ মুছল। ‘অ্যায়ম সরি।’ কয়েকবার নাক মোছার চেষ্টা করল। রতন চুপ করে বসে আছে তখনও। কিছুক্ষণ পরে মল্লিকা বলল, কিছু মনে করবেন না। অফিস থেকে বের হাওয়ার সময় কনিকাদি আমার কাছে এসে বলল, বড় সাহেব এবার নিজের লোক পেয়ে গেছে। মল্লিকা তুই এখন আউট। জানেন, এই নিজের লোকটা হলেন আপনি। একটু থেমে মল্লিকা আবার বলল, এই কথাতে আমার অত খারাপ লাগত না। একটু দূরে গিয়ে একজনকে বলল, যা রস নেওয়ার সব নিয়ে এবার ফেলে দেওয়ার সময় এসেছে। ইস্! কি দহরম-মহরম চলছিল এতদিন! এবার সব শেষ হল বলে। তারপর থেকে আমার মাথাটা গরম হয়ে আছে। না-ভেবে অকারণ আপনার উপর রাগ হয়েছিল। প্লিজ, কিছু মনে করবেন না।’

‘আমি কিছু মনে করি নি।’ পরিবেশটাকে হালকা করার জন্যে রতন বলল, ‘একটু আগে আমাদের এগ্রিমেন্ট হল না? নো মোর আপনি। লেটস বি ফ্রেন্ডস। চলো আজ যাওয়া যাক এখন।’

ফাইল দুটো আলমারিতে তুলে রাখতে রাখতে মল্লিকা বলল, ‘আমি এই চাকরী ছেড়ে অন্য চাকরী নিয়ে চলে যেতাম। তবে এই ব্যাড রেপুটেশনটা ভেঙ্গে তবেই এখান থেকে যেতে চাই। একবার ছেড়ে দিলে এই ব্যাড রেপুটেশনটা আমাকে চেজ করে বেড়াবে। তা না-হলে কবেই ছেড়ে দিতাম।’

দুজনে অফিস থেকে বের হয়ে গেল। বাইরে এসে মল্লিকা বলল, ‘আর কয়েকটা দিন আপনার সাথে আমাকে এইভাবে দেরী করে বের হতে দেখলে আপনাকে জড়িয়ে দেবে। সাবধানে থাকবেন এখানে।’ ‘আমার ওসবে কিছু আসে-যায় না।’ ‘হয়ত এখন যায় না, পরে আসবে না সেকথা বলছেন কি করে?’ ‘মানে?’ ‘ওয়েল, একসময় আমিও আপনার মতই ভাবতাম। ওসব গায়ে মাখতাম না, উড়িয়ে দিতাম। তারপরে একসময় বিরক্তি লাগতে শুরু করল ওইসব কথাতে। শেষে অস্বস্তি। এখন ঘেন্না লাগে।’ ‘আপনি প্রতিবাদ করেন না কেন?’ ‘আপনি কি আমার অবস্থাটা ভেবে বলছেন এই কথাটা?’ ‘হয়ত না। অন্তত আমাকে বলতে পারেন। সুযোগ পেলে হয়ত আমি এর প্রতিবাদ করব।’

‘তাহলে ভাবুন, আজ আপনার জায়গায় যদি বড় সাহেব থাকতেন, উনি আমাকে ওনার গাড়িতে বাড়ির মোড় অবধি ছেড়ে দিতেন। প্রথম দিকে আমি ট্যাক্সি নিতাম। একদিন কথায় কথায় জানলেন আমার বাড়ি ওনার বাড়ি যাওয়ার পথে পরে। তারপর থেকে ওনার সাথে কাজ করতে করতে দেরী হয়ে গেলে উনি আমাকে লিফট দিয়ে দেন। যেতে যেতে কাজের কথাও হয়ে যায়। কিন্তু লোকে এটা ভাল চোখে নেয় না।’

‘আপনার ভাবভঙ্গি দেখে তো মনে হয় না যে আপনি এইসব নিয়ে কোন কেয়ার করেন।’ ‘করি না। তবে সবাই মিলে করিয়ে ছাড়ে।’

এমন সময় অফিসের গার্ডটা একটা ট্যাক্সি হাত দেখিয়ে থামাল। মল্লিকা এগিয়ে গেল। রতন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকল। মল্লিকা বলল, ‘চলে আসুন শেয়ারে চলে যাব। অবশ্য আমি জানি না আপনি কোন দিকে যাবেন।’ ‘চলুন। ও নিয়ে পরে ভাবা যাবে। বাড়ি গিয়ে আমার কিছু করার নেই তেমন।’ শুনে মল্লিকা আশ্চর্য হল, তবে কিছু জিজ্ঞেস করল না। বলল, ‘ধন্যবাদ। এই সময়ে ট্যাক্সিতে আমাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য।’ তারপরে একটু থেমে বলল, ‘কাল দুপুরের মধ্যে অবশ্য এটা জানাজানি হয়ে যাবে।’ ‘সেটা এই কয়েকদিনে একরকম বুঝতে পেরেছি। তবে এটা খুব ছোট ব্যাপার আমার কাছে।’ এই বলে রতন একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চুপ করে গেল। রতনের মনে পরল, এই দরোয়ান, গার্ডদের সাধারণত কেউ বিশেষ গ্রাহ্যের মধ্যে রাখে না। এদের কাছে কি ভয়ানক রকমের খবর থাকে আর প্রয়োজনে কি রকম মূল্যবান বা ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে তার নমুনা ওর থেকে ভালো কে আর জানে। সেদিন শম্পার ফ্লাটে গার্ডকে কিছু না-বললে আজ ওর দিল্লী, বা অন্য কোথাও থাকার কথা। আজ বাড়ি যাওয়ার তাড়া থাকত। জীবনটা একদম অন্যরকম হত। শম্পার কথাটা মনে পরাতে নিজের মধ্যে একটা অন্যায়-বোধ কাজ করতে শুরু করল। মনে হল, ওর আরও ভালো করে খোঁজা উচিৎ। আজ যাকিছু উন্নতি হয়েছে সব শম্পার বুদ্ধিতে এবং ওর টাকায়। মনে মনে ঠিক করল, দু-একদিনের মধ্যে আবার যাবে শম্পার ফ্লাটে। না-পেলে গার্ডকে জিজ্ঞেস করবে। দরকার পড়লে কিছু বকশিস দিয়ে খবর বের করবে। সঙ্গে সঙ্গে মনে হল ওর সাথে কোন মহিলা গেলে কাজটা মনে হয় সহজ হবে। মনে হতেই রতনের মাথাটা ঘুরে দৃষ্টি চলে গেল মল্লিকার দিকে।

রতনকে চুপ করে থাকতে দেখে মল্লিকা বলল, ‘কিছু ভাবছেন নাকি।’ ‘না: তেমন কিছু না। ভাবছিলাম এই গার্ডদের কাছে কত রকম খবর থাকে। ওদের হাতে রাখতে পারলে অনেক কিছু জানা যায়।’ মনে মনে ভাবল, ওকে একবার বলে দেখবে নাকি? আবার মনে হল, কারুর সম্পর্কে ভালো করে না-জেনে এইসব বলা ঠিক হবে না। তাছাড়া মল্লিকাকে তো পুরো ব্যাপারটা বলতে হবে। সত্যি কথা শুনে রাজি হবে কিনা? বানিয়ে বললে সেগুলো ভালো করে গুছিয়ে নিতে হবে। তারপরে কনিকাদির কথাও মনে পড়ল। ভাবল, এই কাজে সেই হয়ত বেশী কার্যকরী হবে।

ডান-হাতে মল্লিকার নখের গুঁতো খেয়ে রতন সম্বিত ফিরে পেল। ‘আপনি মাঝে মাঝে কি ভাবেন বলেন তো? ব্যক্তিগত সেরকম কিছু হলে আমি জানতে চাই না।’ ‘সময় হলে জানতে পারবেন।’ ‘জানেন তো কোন মেয়ের কাছে এইরকম সাসপেন্স তৈরি করে ব্যাপারটা চেপে গেলে সেটা না-জানা অবধি সে স্বস্তিতে থাকতে পারে না। এইটা আমার ক্ষেত্রেও খাটে।’ ‘তাই বুঝি?’ ‘আমার স্টপ চলে এল।’ মল্লিকা ট্যাক্সি ড্রাইভারকে থামতে বলল। নেমে যাওয়ার আগে মিটার দেখে ব্যাগ খুলে টাকা বের করতে যাবে, রতন ব্যাগটাকে চেপে ধরে বলল, এখন থাক। পরে হিসাব করা যাবে। মল্লিকা নেমে গেল। রতন ট্যাক্সি ড্রাইভারকে সোজা চালাতে বলল।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25