কোন কিছু লিখলে প্রথমেই মন চায় যে আত্মীয়-বন্ধু-পাঠকেরা সেটা পড়ুক – বিশেষ করে যারা বিশদভাবে সমালোচনা করে। কখনো-সখনো দেখা যায় যে সমালোচনাটাই আসল লেখার থেকে বেশী ভাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার বেশ ভালো লাগে সেইগুলো পড়তে। কিছু লিখে বই ছাপিয়ে, সেগুলো বিলি-বন্টন বা বিক্রি করা – অনেক হাঙ্গামার ব্যাপার এবং সেটা একটা ব্যয়সাপেক্ষ উদ্যোগ। তাছাড়া কিছুদিন পরে এই কাগজে ছাপা বই আর থাকবে না। আজ আমরা হাতে-লেখা তাল পাতার পুথিকে যেমন জাদুঘরে রেখে দিয়েছি, ছাপানো বই, গানের সিডি, টেপ, রেকর্ড সব সেই ঘরে স্থান পাবে। তার জায়গায় যা আসবে তা হল ডিজিটাল বই। বিষয়টা একই, তবে মাধ্যমটা আলাদা। তাই ভাবলাম কেন না সেই দিকেই এগোই।
প্রথমে ফেসবুকের স্ট্যাটাস লাইনে লিখতাম। বিপদ হল, সেটা খুব তাড়াতাড়ি তলিয়ে যায়। আড্ডাতে বন্ধুদের কেউ একজন বলল তোর লেখা পড়ে ভাল লাগল, তো আরেকজন বলল কই আমাকে দেখালি না তো। বুঝলাম, ইচ্ছেটা আছে; তবে মুখের সামনে তুলে না-ধরলে হবে না। তখন তাদের আলাদা করে পাঠাতে হত। এইভাবে কিছুদিন যাওয়ার পরে নিজের ব্যক্তিগত পাতা থেকে সরে গিয়ে Kallol’s Writing Pad (http://www.facebook.com/KallolsWritingPad) নামে ফেসবুকে আলাদা একটা পাতা বানালাম। তাতে সুবিধা হল আমাকে আর নিজের লেখা অন্যের দেওয়ালে পাঠিয়ে তাদের দেওয়াল নোংরা করতে হত না। যার ভালোলাগে এই পাতা ফলো করে, যে চায় না সে করে না। একদফা উন্নতি হল। অনেক নতুন পাঠক ও বন্ধু পেলাম। এইভাবে ভালোই চলল কিছুদিন। বেশ কিছু গল্প লিখলাম। বিপদ হল, পাতাটাতে সুচিপত্র করার কোন সহজ উপায় খুঁজে পেলাম না। তারপর খুঁজতে খুঁজতে পেলাম এই জায়গা। কিছুদিন এটাকে নেড়ে-ঘেঁটে দেখার পরে সব লেখাগুলোকে টেনে-টুনে এইখানে এনে হাজির করলাম।
এই লেখার দরূন ফেসবুকে অনেকের সাথে আলাপ হয়েছে। তাদের জন্যে এই নতুন ঠিকানা এবং নতুন লেখার লিঙ্ক ফেসবুকে পাঠিয়ে দেব। তবে পারলে, বন্ধুরা এই পাতাটাকে ফলো করেন।
– কল্লোল নন্দী