[রূপসী বাংলায় সুভশ্রী নন্দীর অনুষ্ঠানে পাঠানো ১-লা জুলাই ২০১৮]
আপনারাই বলুন, গুণী মানুষদের সান্নিধ্য কে না পেতে চায়? সেই দিক থেকে ভাবলে মনে হয়, আজ এই অনুষ্ঠানে সরাসরি কথা না-বলতে পারার একটা দুঃখ থেকেই যাবে। অরেকদিকে ভালো লাগছে যে, এই অজুহাতে অন্তত একটা চিঠি লেখা হচ্ছে। আজকাল তো সেইভাবে চিঠি লেখার প্রয়োজন হয় না।
আমারা যারা আটলান্টায় থাকি, তাদের কাছে শোভনসুন্দর বসু এমনিতে যেন এক পাশের বাড়ির লোক। ইংরাজিতে যাকে বলে, guy next door. মজার ব্যাপার হল, শোভন যখনই আটলান্টায় আসে বাঙালী মহলে একটা সাংস্কৃতিক ঘূর্ণি তৈরি হয়। শোভন চলে যাওয়ার পরেও তার রেশ আমরা বেশ টের পাই। শোভন, তোমার অভিজ্ঞতা, উপদেশ, অভিভাবন নিয়ে এখানে নতুন ধারায় কাজ চলছে। এর চেয়ে বেশী আর বলব না এখন। পরেরবার নিজে এসে পরিবর্তনটা দেখে যেও।
আপনাদের সুভশ্রী নন্দী হল আমাদের রাই। সে সত্যিই আমাদের ঘরের মেয়ে। সন্ধের সাঁঝতারাই যেমন ভোরের শুকতারা হয়ে জ্বলে। আটলান্টার বাঙালী সমাজে রাইয়ের অবস্থানটা অনেকটা সেই রকমই। সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম থেকে শেষ অবধি রাইের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, সবাই রাইয়ের উপরে নির্ভরও করে। অনেকের সাথে আমিও একমত যে, শিল্পী তো অনেকেই হয়ে থাকে। ভালো মানুষের আজ বড় অভাব। রাই একজন ভালো শিল্পী সে কথা অনেকেই জানেন, ওর প্রথম পরিচয় হওয়া উচিৎ, রাই একজন ভালো মানুষ। তাই বলি, ভালো করে অনুষ্ঠান করো, তারপরে সুস্থ শরীরে বাড়ি আসো। Atlanta is missing you.
All the best to all of you.
ইতি,
কাল্লোল নন্দী।