আমাকে যদি তিনটে বিন্দু কোথাও বসাতে হয়
আমি একটা তোমার ঠোঁটে, অন্যটা তোমার বুকে
শেষেরটা আমার বুকে বসিয়ে, যে ত্রিভুজ তৈরি হবে
তার ভারসাম্যে একটা চুমু খেতাম।
কারণ সেইখানে আমার শান্তি বিন্দু।
দিনের শেষে তোমার চোখে চোখ রেখে
এক ডুব, দুই ডুব, তিন ডুব দিতে দিতে একটা ঘুম দিতাম।
সন্ধে তারা তখন টিমটিমে বাতি নিয়ে আকাশে পাহারা দেবে
গাছের কোটলে বসে পাখীরা তাদের সঙ্গিনীকে ডাকবে সান্ধকালীন সঙ্গমের জন্যে
আদ্র বাতাসে দুলে উঠবে গাছের ডালপাতা
ভয়ে পেয়ে সঙ্গিনী পাখী বের হয়ে আসবে তার লুকানো জায়গা থেকে
আর অকারণ আতঙ্কে টেনে নেবে আমার মাথাটা তোমার কোলের মধ্যে।
রাতের তারারা তখন বুটি বুটি হয়ে বসবে তোমার শাড়ীতে
ছায়াপথ নেমে এসে হবে শাড়ীর আঁচল।
বাঁকা চাঁদ এসে বসবে মাথায় মুকুট হয়ে
জ্যোৎস্নার আলো টপ টপ করে গড়িয়ে পরবে তোমার চুল বেয়ে
শনির বলয় ঝুলবে তোমার কানের দুল হয়ে
কপালের টিপ ঘসা খেয়ে হবে একটা ধূমকেতু
তোমার শরীরে তখন আকাশের গন্ধে ম ম –
আমি ত্রিভুজের ভারসাম্যে মাথা রেখে,
এক ডুব, দুই ডুব, তিন ডুব; একটা ঘুম দেব তোমার কোলে।